মোবাইল দিয়ে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রয়েছে টিম ভিউয়ার অ্যাপস রয়েছে, যা নিয়ে পূর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এবারের লেখাটি কম্পিউটার দিয়ে মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস নিয়ে। কম্পিউটার দিয়ে মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অ্যান্ড্রয়েডে রয়েছে এয়ারড্রয়িড (AirDroid) নামের বিনামুল্যের এবং দ্রুত কার্যকরী একটি অ্যাপস।

এক নজরে এয়ারড্রয়েডের ফিচারগুলো

  • কোন রকম তার ছাড়া আপনার আন্ড্রয়েড ফোনের ফাইল আদান প্রধান করা যাবে যে কোন জায়গা থেকে।
  • কম্পিউটারের বিশাল স্ক্রিন ব্যবহার করে খুব সহজেই ম্যাসেজ পাঠানো এবং গ্রহণ করা যাবে। যেটি মোবাইলের ছোট স্ক্রিনে করা বেশ সময় সাপেক্ষ।
  • স্মার্টফোনটি কোথায় আছে তা জানতে পারবেন নিমিষেই। মোবাইলটি আর ফিরে পাওয়ার সম্ভবনা নেই? তাহলে কম্পিউটার থেকেই মোবাইলের সকল ডাটা মুছে ফেলতে পারবেন।
  • মোবাইল থেকে ফটো, ভিডিও, রিংটোন অথবা যে কোন ধরণের ফাইল খুব সহজেই কম্পিউটারে ট্রান্সফার করা যাবে। এমনকি কম্পিউটার থেকেও মোবাইলে এইসব ফাইল ট্রান্সফার করা যাবে।
  • স্মার্টফোনের অ্যাপসগুলো খুঁজে বের করা, ইন্সটল এবং এক্সপোর্টও করা যাবে এই অ্যাপস দিয়ে।
  • মোবাইলের ফ্রন্ট কিংবা ব্যাকসাইড ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করে ছবি তোলা, এছাড়াও মোবাইল ক্যামেরা ব্যবহার করে রিয়েল টাইম স্ট্রিম করে কম্পিউটারে সেটা সরাসরি দেখা যাবে।
  • ফোন কল, ক্লিপবোর্ড অর্থাৎ কপি/পেস্ট করা, ইউআরএল ট্রান্সফারসহ সব কিছুই করা যাবে এটা দিয়ে।
  • আরো অনেক কিছুই করা যাবে।

স্ক্রিনশটে এয়ারড্রয়েডের ফিচার


মোবাইলে এয়ারড্রয়েড স্ক্রিন

কম্পিউটারের স্ক্রিনে এয়ারড্রয়েড অ্যাপস
মোবাইলের ছবিগুলো কম্পিউটার থেকেই দেখা যাচ্ছে
মোবাইল কোথায় রয়েছে দেখা যাচ্ছে কম্পিউটার স্ক্রিনে
মোবাইল ক্যামেরা ব্যবহার করে লাইভ স্ট্রিম হচ্ছে যা কম্পিউটারে দেখা যাচ্ছে অ্যাপসটি ব্যবহার করা খুব সহজ। ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোবাইলে এয়ারড্রয়েড অ্যাপসে মেইল আইডি দিয়ে লগইন করতে হবে। সেই একই মেইল আইডি দিয়ে কম্পিউটারে লগ ইন করতে হবে এই লিঙ্কে http://web.airdroid.com/। এরপর ইচ্ছেমত মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করুন।

ডাউনলোড

মাত্র ৭ মেগাবাইটের ফ্রি এয়ারড্রয়েড (AirDroid) অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকে
কম্পিউটারে ভুল করে ফাইল ডিলেট অথবা ড্রাইভ ফরম্যাট হয়ে যায়নি এমন কম্পিউটার ব্যবহারকারী হয়তো খুজে পাওয়া যাবে না। সেটা হতে পারে ছবি, ভিডিও, গান অথবা কোন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট অর্থাৎ কম্পিউটারের যে কোন ধরণের ডাটা ফাইল। Shift+ Delete চেপে যে কোন ফাইল ডিলেট করার পর তা রিসাইকেল বিনেও থাকে না। তারমানে সেটা একবারেই ডিলেট হয়ে যায়। তাহলে ভুল করে এই ধরণের ডিলেট হয়ে গেলে উপায় কি? অথবা ভুল করে কোন ড্রাইভ ফরম্যাট হয়ে গেলে সেই ফাইলগুলো কি চিরতরে হারিয়ে গেল? 

না আসলে এরও সমাধান আছে। সেটা হচ্ছে রিকভারি সফটওয়্যার। যেই সফটওয়্যারের কাজই হচ্ছে ডিলেট হয়ে যাওয়া ফাইল পুনরুদ্ধার করা। এই ধরণের রিকভারি সফটওয়্যার অনেক রয়েছে। ফ্রি, ছোট এবং সেরা একটি ফাইল রিকভারি সফটওয়্যার হচ্ছে Recuva। এই চমৎকার সফটওয়্যার দিয়ে খুব সহজেই কম্পিউটারের ফাইল রিকভারি করা যায়।

রিকিউভা সফটওয়্যারের ফিচারঃ

  • ভুল করে ডিলেট করা ফাইল রিকভারি করা। কম্পিউটার, পেনড্রাইভ, ক্যামেরার ফটো অথবা আইপডের গান যাই হোক না কেন তা রিকভার করতে পারে এই সফটওয়্যার।
  • কম্পিউটারের কোন ড্রাইভ যদি ফরম্যাট হয়ে যায়, দেখতে পুরোপুরি সেই ড্রাইভ থেকেও ফাইল রিকভার করে দিবে রিকিউভা।
  • ইমেইল ও রিকভার করে রিকিউভা! মাইক্রোসফট আউটলুক, মজিলা থান্ডারবার্ড অথবা উইন্ডোজ লাইভের মেইলগুলো রিকভার করতে পারে রিকিউভা।
  • আইপড অথবা MP3 প্লেয়ারের গান ডিলেট হয়ে গেছে? কোন চিন্তা নেই রিকিউভা গানের লিস্ট সহ তা রিকভার করে দিবে।
  • মাইক্রোসফট ফাইল সেভ করতে ভুলে গেছেন? অথবা পিসি ক্র্যাশ করেছে? কোন টেনশন নেই রিকিউভা তাও রিকভার করে দিবে!
  • রয়েছে Deep Scan ফিচার, যার কাজ হলো হারিয়ে যাওয়া ফাইল খুজে বের করে নিখুতভাবে। সময়ও বেশি নিয়ে থাকে।
  • কিছু ফাইল আছে যা চিরতরে মুছে ফেলা দরকার। যেন কোন রিকভারি সফটওয়্যারও খুজে না পায়। হ্যা এমন ধরণের ডিলেট করতেও সাহায্য করবে রিকিউভা! যেই ফাইল আসলেই চিরতরে মুছে যাবে।
  • রিকিউভার রয়েছে পোর্টেবল ভার্শন। অর্থাৎ ইন্সটলের নেই কোন ঝামেলা। যেখানে খুশি সেখানে নিয়ে ব্যবহার করা যাবে সহজেই।
  • উইন্ডোজের সকল ভার্শন সাপোর্ট সহ প্রায় ৩৭+ ভাষা সাপোর্ট করে। আরোও বিস্তারিত জানুন এখানে।

Recuva এর কিছু স্ক্রিনশটঃ


স্ক্যান করছে রিকিউভা!

স্ক্যান করার পর স্ক্যান ফলাফল।

নির্দিষ্ট ফোল্ডার দেখিয়ে স্ক্যান করা হচ্ছে।

ডিলেট হয়ে যাওয়া অনেক ছবির মাঝে সঠিক ছবিটি খুজে পেতে থাম্বনেইল অপশনের সাহায্যে পাওয়া যাবে খুব সহজেই।

নির্দিষ্ট করে ছবি, গান বা ডকুমেন্ট স্ক্যান করা যাবে ফলে ডাটা পাওয়া যাবে আরো সহজে।


ফাইল ডিলেট হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই চেষ্টা করবেন রিকভারি করার। কারণ যে ড্রাইভটি ফরম্যাট হয়ে গেছে সেই ড্রাইভে যদি নতুন করে ফাইল রাখেন তাহলে আগের ডিলেট হয়ে যাওয়া ফাইলের সাথে ওভাররাইট হয়ে যাবে। ফলে রিকভারি হবে না ঠিকভাবে। তাই ফাইল ডিলেট হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই রিকভারি করতে হবে। এছাড়াও স্ক্যান করার সময় অবশ্যই Deep Scan অপশনটি চেক করে দিবেন।

ডাউনলোডঃ

Recuva। মাত্র ৪ মেগাবাইট এবং ফ্রি। তবে প্রিমিয়াম ভার্শনও রয়েছে।


অনেক সময়ই নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরিচয় গোপন করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার দরকার হতে পারে। এছাড়াও অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েব সাইট যেমন ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি অফিসে বা নির্দিষ্ট স্থানে ব্লক করা থাকে। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে টর ব্রাউজার (Tor Browser) নামের সম্পূর্ণ ফ্রি এবং শক্তিশালী ওয়েব ব্রাউজার।

টর ব্রাউজারের বৈশিষ্ঠ্য:

  • আইপি হাইড করে অর্থাৎ সম্পূর্ণ অজ্ঞাত পরিচয়ে ব্রাউজিং করা যায়।
  • ব্লক করা যে কোন ওয়েব সাইট ব্রাউজ করার সুবিধা।
  • আইপি হাইডের কারণে স্পীডের কোন তারতম্য ঘটে না।
  • উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাক্স সংস্করণ রয়েছে।
  • ইন্সটল করার কোন ঝামেলা নেই।
  • সম্পূর্ণ ফ্রি সফটওয়্যার।
  • ইংরেজি ছাড়াও আরো অনেক ভাষা সাপোর্ট করে।

উইন্ডোজে ব্যবহার করতে হলে :

এই ব্রাউজারটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। হ্যাকাররা ছাড়াও সাধারণ ব্যবহারকারীরাও এটা ব্যবহার করতে পারে অনায়াসেই।
ব্রাউজার বান্ডেলটি ডাউনলোড করে আপনি যেখানে এক্সাক্ট করতে চান সেটা দেখিয়ে দিতে হবে। সেটা  পোর্টেবল ডাইভও হতে পারে।
Screenshot of<br /><br />    extraction process
এখন দেখানো লোকেশনে টর ব্রাউজার নামের একটি ফোল্ডার তৈরি হবে। ফোল্ডারটিতে Start Tor Browser নামের একটি আইকন থাকবে। সেখানে ডাবল ক্লিক করলে নিচের মত একটা উইন্ডো ওপেন হবে।

Screenshot of<br /><br />    bundle startup

যখন এটি পুরোপুরি লোড হবে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন একটি ব্রাউজার ওপেন হবে। তবে টর ব্রাউজারের জন্য অন্যান্য ব্রাউজারে কোনো প্রভাব ফেলবে না অর্থাৎ আগের মতই কাজ করা যাবে। ব্রাউজিং শেষ করার পরে ব্রাউজারটি বন্ধ করে দিতে হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে সকল কুকি, হিস্টিরি মুছে যাবে টর ব্রাউজারের। অর্থাৎ ব্যবহারকারী পুরোপুরি নিরাপদ থাকবেন।

Screenshot of<br /><br />    Firefox
এভাবেই টর ব্রাউজার ব্যবহার করে নিরাপদ থাকা ও ব্লকড ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যাবে।

ডাউনলোডঃ

টর ব্রাউজার বান্ডলটি মাত্র ২৬ মেগাবাইটের। এই লিংক থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যাবে। বিস্তারিত জানা যাবে এই সফটওয়্যারটির ওয়েবসাইট থেকে।


স্মার্টফোনের এই যুগে সবাই দামি দামি মোবাইল ব্যবহার করে থাকে। এত দামি ফোনগুলো যখন চুরি হয়ে যায় বা হারিয়ে যায় তখন অনেক রকম সমস্যাই হতে পারে। হয়তো নতুন ফোন কেনা যাবে কিন্তু চুরি হওয়া সেই ফোনে অনেক ব্যক্তিগত তথ্য থাকতে পারে যে কারণে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যা হতে পারে। এছাড়া চোর যদি মোবাইলে সব কিছুই খুব সহজে পেয়ে যায় তাহলেতো আপনি স্মার্টফোনের স্মার্টইউজার হলেন না। মোবাইল হারিয়ে যাক বা চোরে নিয়েই যাক ফোনের লোকেশন বের করা বা ফোনের সকল ডাটা মুছে দেয়ার ক্ষমতা আপনার আছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের এই নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করবেন তা এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে অনেক থার্ডপার্টি অ্যাপস রয়েছে যা দিয়ে মোবাইল লক করা, লোকেশন ট্রেস করা বা রিমোটলি ডাটা মুছে দেয়া যায়। তবে ডিফল্টভাবে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে এই ফিচারগুলো রয়েছে।

Lock code
আপনি আপনার মোবাইলে পিন কোড সেট করে রাখতে পারেন। সেটা হতে পারে ৪ থেকে ১৭ অক্ষরের পাসওয়ার্ড। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে প্যাটার্ন ফিচারও রয়েছে যা এখন অনেকেই ব্যবহার করছে। তবে এটার সমস্যা হলো একই প্যাটার্ন সব সময় ব্যবহার করার কারণে ডিসপ্লেতে এক ধরণে চিহ্ন তৈরি হয়ে যায় যা দেখে চোর খুব সহজেই এটা খুলে ফেলতে পারে। এছাড়া ফেস আনলক ফিচারও রয়েছে যা বেশ উপযুক্ত ফিচারই বলা যায় তবে সব মিলিয়ে পাসওয়ার্ড লকটাই বেশি নিরাপদ। তবে কিছু কিছু ফোনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার সুবিধাও রয়েছে!

মোবাইল ট্রেসিং সিস্টেমঃ

Android Device Manager
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের লোকেশন বের করা যায়। অর্থাৎ এই মোবাইলটি যদি চুরি হয় তাহলে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের সাহায্যে মোবাইলের বর্তমান লোকেশন বের করা সম্ভব। এই জন্য যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে গুগল সেটিংস মেনুতে গিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। তারপর remotely locating, locking, and resetting your phone এই বক্সেগুলোতে চেক করে দিতে হবে।
Android Device Managerঅ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে ট্রেস করা স্থান।হারানো ফোনটি খুজে বের করার জন্য প্রথমে Android Device Manager site এ গুগল আইডি দিয়ে লগ ইন করতে হবে। সেখানে আপনার সকল ডিভাইস প্রদর্শন করবে যেগুলো এই আইডি দিয়ে আপনি ব্যবহার করছেন। প্রতিটি ডিভাইসে ক্লিক করলেই গুগল ম্যাপে লোকেশন দেখতে পারবেন। আর হ্যা অবশ্যই ফোনে ইন্টারনেট থাকতে হবে।

 
 
অ্যান্ড্রয়েড ফেস লক ফিচার।
আরো কিছু অপশন রয়েছে যেমন নতুন লক কোড সেট করা, ৫ মিনিট ফুল ভলিউমে মোবাইল বাজবে হোক সেটা সাইলেন্ট মুড এবং সেটের সকল ডাটা মুছে দেয়া। তবে থার্ড পার্টি অ্যাপসগুলোতে আরো অনেক ফিচার রয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল যদি অফলাইন মুডে থাকে বা পাওয়ার বাটনের মাধ্যমে সুয়িচ অফ করে দেয়া হয় তাহলে এই পদ্ধতিগুলো কাজে আসবে না। তবে মোবাইল অন করার পর আপনি নটিফিকেশন পেতে পারেন। আর ডাটা যখন মুছে ফেলবেন তখন আর কোন ট্রেসিং ফলাফল পাবেন না। আর হ্যা মোবাইল মেমরিই শুধু মুছে যাবে রিমোটলি, মেমরি কার্ডের ফাইল মুছবে না। তাই সাবধানে মেমরি কার্ড ব্যবহার করুন।
অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ি তুলনামূলক চিত্রঃ
Feature iOS Android Windows Phone
Mobile app Yes No No
Device tracking Yes Yes Yes
Remote wipe Yes Yes Yes
Remote screen lock Yes Yes Yes
Play a sound Yes Yes Yes
Onscreen message Yes No Yes
Prevent new activations Yes No No
Lock code choices 4-digit PIN or password 4- to 17-digit PIN, password, pattern, or face unlock 4- to 16-digit PIN only
Features accessible from lock screen Siri (including placing a call, or sending a text), Notification and Control centers Missed calls & text messages None

সব মিলিয়ে বলা যায় সহজ ইন্টারফেস এবং ফ্রি অ্যাপসের জন্য অ্যান্ড্রয়েড আদর্শ। তবে গুগলের উচিত অ্যাপলের মত অ্যান্ড্রয়েডে আরো বেশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ওয়েব সাইট যদি তাড়াতাড়ি লোড না হয় তাহলে ভিজিটর যেমন থাকে না তেমনি SEO এর জন্যেও খুব খারাপ। তাই সাইট যেন তাড়াটারি লোড হয় সেজন্য ইমেজ সাইজ কমিয়ে দেয়া যেতে পারে। ইমেজের কোন কোয়ালিটি নষ্ট না করে সাইজ কমানোর অনেক পদ্ধতি রয়েছে। তেমনই কিছু ওয়েব সাইটের খোজ থাকছে এই পোস্টে।

Shrink O’Matic

এটা এডোব এয়ার আপ্লিকেশন। ইমেজ রিসাইজ করার জন্য কাজের টুল। JPGs, GIFs এবং PNG ফরম্যাটের ইমেজগুলো ড্রাগ ও ড্রপ করে রাখলেই সেটিং অনুযায়ী রিসাইজ হয়ে যাবে। আউটপুট সেটিংস থেকে রোটেশন, আউটপুট সাইজ, নাম, লোকেশন, ফরম্যাট এবং ওয়াটার মার্কও যুক্ত করা যাবে। এছাড়াও রয়েছে EXIF ডাটা সাপোর্ট ফলে ইমেজ কম্প্রেস করার পরেও সকল তথ্য থাকবে অটুট।

Smush.it

ইয়াহুর একটি অনলাইন সার্ভিস এটি। ইমেজের কোন ক্ষতি না করেই সাইজ কমাতে জুড়ি নেই এই সাইটের। JPEG, GIF ও PNG সাপোর্ট করে। রিসাইজ করা ছবি ডাউনলোড এর জন্য একটি লিঙ্ক দেয়া হয় যা ৩০ মিনিটের জন্য কার্যকর থাকে।

RIOT

এই টুলসের সব চেয়ে বড় এডভান্টেজ হলো ইমেজ সাইজ রিডিউস করার আগে ও পরে দুইটাই পাশাপাশি দেখা যাবে। ফলে রিসাইজ করার পর ছবির কোন ক্ষতি হয়েছে কিনা সাথে সাথেই চেক করা যাবে।
খুবই ছোট, গতিসম্পন্ন এবং এডভান্স ইউজারদের জন্য রয়েছে অনেক ফিচার। অনেক ধরণের ফরম্যাট সাপোর্ট করে এই টুলস।

PNG Gauntlet


6-PNGGauntlet

এটা PNG ফাইল তৈরি করতে বিশেষভাবে তৈরি। JPG, GIF, TIFF ও BMP ফাইলগুলোকে PNG ফরম্যাটে রুপান্তর করে এটি। কম্প্রেস হচ্ছে তা স্ট্যাটাস বার দেখে জানা যাবে এবং কতটুকু সাইজ বাচলো তাও পাশাপাশি দেখা যাবে।

CompressNow

এটাও আরেকটি অনলাইন আপলোডার সাইট। কম্পিউটার থেকে ইমেজ আপলোড করে এই সাইট থেকে সাইজ কমানো যাবে। এক সাথে ১০ টি ইমেজ এবং ৩ মেগাবাইটের মধ্যে ইমেজ সাপোর্ট করে।
এমন আরো অনেক অনেক সাইট এবং টুলস রয়েছে। সবগুলো ব্যবহার করতে হবে এমন নয়। আপনার প্রয়োজন মত একটি সিলেক্ট করে সব সময় ব্যবহার করুন। তবে অনেকগুলো সম্পর্কে জানতে দোষ কি!
লিডিং প্রপার্টি ওয়েবসাইট লামুদি প্রথমবারের মতো ২৮ টি দেশে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন আরম্ভ করেছে। বাংলাদেশে এখন যে কেউ অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করে যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে বসে খুঁজে নিতে পারবেন পছন্দের বাসা।
Lamudi: Real Estate for Sale and Rent অ্যাপ্লিকেশনটিতে আছে বিভিন্ন দেশের ৪০০,০০০ এর অধিক সম্পত্তি। অ্যাপ্লিকেশনের আওতায় থাকা বাংলাদেশসহ লামুদির ২৮ টি দেশের যেকোনো দেশের প্রপার্টি খোঁজা যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
মোবাইল ইন্টারনেটের উদীয়মান বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য ডিজাইন করা হয় লামুদির  অ্যাপ্লিকেশনটি। ইন্টারনেট প্রতিবেদনের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ায় এখন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুব দ্রুত গতিতে বেঁড়ে চলেছে। মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর এক তৃতীয়াংশের বেশী মানুষের বসবাস এখন এশিয়ায়।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী মোবাইল প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশে, মার্চ মাসে অ্যান্ড্রয়েড এর ব্যবহার নকিয়া এর ৪০ সিরিজ কে ছাড়িয়ে গেছে।
লামুদি এর সহপ্রতিষ্ঠাতা  ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আন্তোনিও সালিস, বলেন: “অ্যান্ড্রয়েড  স্মার্টফোনের বাজারের ভবিষ্যত শুধু বাংলাদেশে নয় বরং বিশ্বব্যাপী. এই কারণে, সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানোর জন্য আমরা লামুদির অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন উপর মনোনিবেশ করেছি। এটিই প্রথম রিয়েল এস্টেট অ্যাপ্লিকেশন যেখানে বিশ্বের ২৮ টি দেশ আওতাভুক্ত আছে। আপনি ঢাকায় বসে জেদ্দায় বাসা ভাড়ার জন্য খুঁজতে পারবেন।”

Android_BD_BN

ডেভিড জয়াগেমেকার, লামুদি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তিনি বলেন: “আমরা সবাই জানি যে বাড়ি ভাড়া খোঁজা কোনো সহজ কাজ নয়। এই অ্যাপ্লিকেশনটি আপনাকে সাহায্য করবে বাসা ভাড়া দেওয়া এবং নেয়া উভয় কাজেই।”
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ব্যবহারকারীরা সহজেই ফিল্টার করতে সক্ষম হবেন, অনুসন্ধান ফাংশন কাস্টমাইজড করে দেশ অনুযায়ী ফলাফল দেখতে পারবেন।

Android_BD_EN

আজই লামুদি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন!


লামুদি সম্পর্কে
২০১৩ সালে চালু হওয়া লামুদি এখন এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ল্যাটিন আমেরিকা এবং আফ্রিকার ২৮ টি দেশে সফলভাবে প্রপার্টি পোর্টাল পরিচালনা করছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক জুড়ে ৪০,০০০ এর বেশি তালিকাভুক্ত প্রপার্টি নিয়ে রিয়েল এস্টেট প্ল্যাটফর্ম এগিয়ে চলেছে

বাংলা ব্লগসঃ

বাংলা ব্লগ এখন বেশ জনপ্রিয়। ব্লগ থেকে অনেক সমাজসেবামূলক কাজ করা যায় যার কারণে এখন সবাই ব্লগমুখী। বাংলা ব্লগিংকে আরো গতিময় করতে এই বাংলা ব্লগস অ্যাপসটি অনেক কাজে দিবে। অ্যান্ড্রয়েড এই অ্যাপস দিয়ে পোস্ট লিখে তা ড্রাফট বা পাবলিশ করা যাবে। আগে পাবলিশ করা পোস্ট এডিটও করা যাবে। শুধু তাই নয়, পাবলিশ করা সকল পোস্ট এবং ড্রাফট করা সকল পোস্টের লিস্ট দেখা যাবে এই অ্যাপস দিয়ে। একাধিক ব্লগ একাউন্ট থাকলে সুইচ করা যাবে সহজেই। গ্যালারি থেকে ইমেজ যুক্ত করা যাবে ব্লগে অথবা সরাসরি অ্যাপস দিয়ে তোলা ছবিও ব্লগে যুক্ত করা যাবে। পোস্টে লেভেল যুক্ত করা যাবে। এছাড়া লোকেশনের তথ্যও যুক্ত করা যাবে। যেখানেই থাকুন না কেন, যে কোন সময়ই হোক না কেন ব্লগ পোস্ট করা যাবে অনায়াসেই। ফ্রি এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটির সাইজ মাত্র ২৮০ কিলোবাইট। ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় 




বাংলাদেশ কৃষি তথ্যঃ
কৃষকদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি। পুরো অ্যাপসটি বাংলায় করা হয়েছে। তাই মোবাইলে বাংলা ফন্ট থাকা জরুরি। দেশি ব্র্যান্ড যেমন ওয়াল্টন, সিম্ফোনিতে ডিফল্টভাবেই বাংলা ফন্ট ইন্সটল করা থাকে। অন্যান্য স্মার্টফোনগুলোতে বাংলা ফন্ট ইন্সটল করে নিতে হবে। এই কৃষি তথ্য অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি চালাতে ইন্টারনেট কানেকশন লাগবে। এখানে তথ্যগুলো ছবি সহ অনেক বিস্তারিত রয়েছে। হোম, সংবাদ, প্রিন্ট মিডিয়া , ই মিডিয়া, আইসিটি, ই-কৃষি, জানতে চাই এমন আলাদা আলাদা বাটন রয়েছে এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসে। সম্পূর্ণ সবুজাভ এই অ্যাপসটি শুধুমাত্র কৃষকদেরই নয় অনেক শিক্ষার্থীদেরও কাজে আসবে। মাত্র ১.৩ মেগাবাইট সাইজের এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায়

বাংলা ডিকশনারি অফলাইনঃ

স্মার্টফোনে বাংলা ডিকশনারি না রাখলে কি আর সেটা স্মার্টফোন হয় নাকি। এখন প্লেস্টোরে অনেকগুলো ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস পাওয়া যায়। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো এই বাংলা ডিকশনারি অফলাইন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি। এই অ্যাপসে অনলাইন এবং অফলাইন দুই মুডেই ব্যবহার করা যায়। সমার্থক শব্দ, শব্দের অর্থের উচ্চারণ সহ বেশ কিছু চমৎকার ফিচার রয়েছে। ইন্টারফেস দেখেও মুগ্ধ হবে ব্যবহারকারীরা। ইন্টারনেট কানেকশন যদি না থাকে তাহলে অটো অফলাইন মুডে চলে যাবে এবং শব্দের ফলাফল খুজে বের করে দিবে। ট্যাবলেট এবং ফ্যাবলেটেও এই অ্যাপস ব্যবহার করা যাবে অনায়াসেই। কোন বাংলা ফন্ট ইন্সটল না থাকলেও এই অ্যাপসের বাংলা শব্দগুলো পড়া যাবে সমস্যা ছাড়াই। প্রতিনিয়ত আপডেট হওয়া এই ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসের সাইজ মাত্র ৩ মেগাবাইট। ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় 



বাংলাদেশ কন্টসটিটিউশন বাংলাঃ

বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সবারই উচিত বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে ধারণা রাখা। বাংলাদেশ কন্টসটিটিউশন বাংলা নামের এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসে বাংলাতে বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। নাগরিকদের অধিকার, ব্যাসিক সাংবিধানিক নিয়ম কানুন সহ অনেক তথ্যবহুল এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি। অনেকগুলো ভাগে বিভক্ত  করা হয়েছে তথ্যগুলো। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, প্রস্তাবনা, প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, মৌলিক অধিকার, নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ইত্যাদি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে এই অ্যান্ড্রয়েডের সকল তথ্য। প্রতিটি ভাগের আবার সাববিভাগ রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের সংবিধান জানার জন্য এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস সাধারণ নাগরিকের জন্য যথেষ্ট। ১ মেগাবাইটের এই ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায়

বাংলাদেশ ব্লাড ব্যাংকঃ

অনেক জরুরী সময়ই রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। সঠিক সময়ে রক্ত যোগাড় করতে না পারলে অনেক বড় রকমের সমস্যা হতে পারে। সব সময় বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে ব্লাড ব্যাংক সম্পর্কে খোজ নেয়াও সম্ভব নাও হতে পারে। আর তখনি এই অনলাইন নির্ভর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস বাংলাদেশ ব্লাড ব্যাংক অনেক কাজে দিবে। এটা এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে ডোনার, গ্রহিতা বা রোগী রক্ত নিয়ে এক সাথে আলোচনা করতে পারে। ব্লাড ডোনাররা বিভিন্ন কারণে রক্ত দান করে থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত সংগ্রহের জন্য অসাধারণ একটি পোর্টাল হতে পারে এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস। এখানে ডোনারের ঠিকানা সহ অনেক তথ্যই বিস্তারিত দেখা যায়। মাত্র ২৮০ কেবির এই ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় 

বাংলা জিপিএস/বাংলা ম্যাপঃ

গুগল ম্যাপ সবার জন্যই অনেক কাজে লাগে। আর সেই ম্যাপটি যদি হয় বাংলায় তাহলেতো সোনায় সোহাগা। বাংলা জিপিএস/বাংলা ম্যাপ এমনই একটি কাজে ম্যাপ যা দিয়ে সাড়া বাংলাদেশের যেখানেই থাকুন না কেন, আপনার গন্তব্য খুজে বের করতে পারবেন। এই জন্য লাগবে একটি স্মার্টফোন, জিপিএস এনাবল হ্যান্ডসেট এবং ইন্টারনেট। আপনার গন্তব্যস্থলের নাম লিখে সার্চ দিন তাহলে নিমিষেই পেয়ে যাবেন যাওয়ার রাস্তা। অর্থাৎ গুগল ম্যাপের প্রায় সকল সুবিধাই এই বাংলা জিপিএস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসে পাওয়া যাবে পুরোপুরি বাংলায়। শুধু গাড়ির রাস্তাই নয় সাথে সাথে হাটার রাস্তাও পাওয়া যাবে এই ম্যাপে। পুরোপুরি ইন্টারনেট নির্ভর এই ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটির সাইজ মাত্র ১ মেগাবাইট। ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় 

বাংলা জাতিয় ই-তথ্যকোষঃ

অনলাইনে এখন বাংলায় অনেক তথ্যই পাওয়া যায়। দিন দিন এই তথ্য আরো বহুগুনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনলাইনের এমনই এক তথ্যভান্ডার হচ্ছে এই বাংলা জাতিয় ই-তথ্যকোষ। এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসে ডেস্কটপ ও মোবাইল উভয় ভার্শনই রয়েছে। প্রয়োজনমত যে কোন ভার্শন পছন্দ করা যাবে। পুরোপুরি ইন্টারনেট নির্ভর এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসে অনেকগুলো বিষয় বিভক্ত করা হয়েছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, আইন ও মানবাধিকার, নাগরিক সেবা, পর্যটন, অকৃষি উদ্যেগ, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও প্রযুক্তি, শিল্প ও বাণিজ্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান সহ সকল বিভাগে ছবি সহ বিস্তারিত তথ্য রয়েছে এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসে। ইচ্ছে করলে রেজিট্রেশন করে এই তথ্য ভান্ডারে যে কেউ তথ্য যুক্ত করতে পারে। ডেস্কটপ ভার্শনে মোবাইল দিয়েই হুবুহু ডেস্কটপ সাইটের মত দেখা যাবে। ১ মেগাবাইট সাইজের এই ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায়

জি স্লেট বাংলাঃ

ছোটবেলায় সবারই হাতে খড়ি হয়েছে চক-স্লেট দিয়ে। এখন এই অত্যাধুনিক সময়ে চক-স্লেটের ব্যবহার অনেক কমে গিয়েছে। এখন বাচ্চারা স্মার্টফোন, কম্পিউটার দিয়ে শিখতে বেশি পছন্দ করে। জি স্লেট নামের এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডিজিটাল চক-স্লেটের কাজ করবে। এটা দিয়ে খুব সহজেই বাচ্চারা অক্ষরজ্ঞান সম্পর্কে ধারণালাভ করতে পারবে। পুরো ইন্টারফেসটি অনেকটা বাস্তব চক-স্লেটের মত করা হয়েছে। পড়া ও লিখার দুটি অপশনই রয়েছে এই অ্যাপসে। অক্ষর এবং নাম্বারগুলো ট্রেস করার জন্য ডিফিকাল্টি লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারেন। ফলে বাচ্চাটি আরো বেশি চ্যালেঞ্জ অনুভব করবে এবং মজা পাবে। ট্রেস করা ছাড়াও রয়েছে সাউন্ড এবং ছবি সহ শব্দগাইড। বাচ্চারা অনেক মজা পেয়ে যেন এই অ্যাপসটি দিয়ে অক্ষরজ্ঞান লাভ করতে পারে সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে। ১০ মেগাবাইট সাইজের এই ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় 



কবিতা সমগ্র-বাংলাঃ

কবিতা অনেকেই পছন্দ করেন। সব সময় কবিতার বই সাথে রাখা বা প্রয়োজনের সময় কবিতা নাও পাওয়া যেতে পারে। তখন এই অ্যান্ড্রয়েড কবিতা সমগ্র-বাংলা অ্যাপসটি অনেক কাজে দিবে। এখানে অনেকজন কবির বিখ্যাত কবিতাগুলো সুন্দরভাবে ছবিসহ সাজানো রয়েছে। পুরো বাংলা এই অ্যাপসটির জন্য ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজন নেই। বাংলা অক্ষরের ক্রমানুসারে এখানে কবিদের সাজানো রয়েছে। যাদের কবিতাগুলো এখানে রয়েছে তাদের নাম হলোঃ অমিয় চক্রবর্তী, অ্যালেন গিন্সবার্গ, আনা আখমাটোভা, আন্দ্রেই ভজনেসেনস্কি,আল মাহমুদ, আহসান হাবীব, কাজী নজরুল ইসলাম, কায়কোবাদ, জসীমউদ্দীন, জীবনানন্দ দাশ, ফররুখ আহমদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ অনেকের কবিতাই রয়েছে। প্রতি কবির অনেকগুলো কবিতা রয়েছে এই অ্যাপসে। এছাড়া হামদ ও নাথও রয়েছে। ২ মেগাবাইটের এই ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায় 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশঃ 

সম্প্রতি চালু হওয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি অনেক জনপ্রিয় হয়েছে। সামনে চট্রগ্রাম ভার্শনও আসবে এমনটাই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটির মাধ্যমে ঢাকার সকল থানার ওসি এবং ডিউটি অফিসারের নম্বরসহ পাওয়া যাবে প্রতিটি থানার ঠিকানা এবং ম্যাপ। এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে ঢাকার যে কোন স্থান থেকে আপনি আপনার সবচেয়ে কাছের থানাটি সহজেই খুঁজে বের করতে পারবেন; সেই সাথে গুগল ম্যাপে আপনাকে সেই থানায় যাওয়ার পথও দেখিয়ে দেবে। শুধু তাই নয় জরুরী প্রয়োজনে ডিএমপির ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত সংগ্রহ এবং এ সম্পর্কিতে অন্যান্য তথ্য জানার জন্যে এতে সংযোজন করা হয়েছে একটা ‘ব্লাড বাটন’। ডিএমপির নারী-সহায়তা বিভাগের বিভিন্ন সেবা পাওয়ার জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন ‘নারী বাটন’টি। এছাড়াও ডিএমপি-ম্যাপ থেকে খুব সহজেই আপনি যে কোন থানার অবস্থান ছবি তুলে পাঠাতে পারবেন আপনার কোন বন্ধু বা নিকটজনকে। এই চমৎকার কাজের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটির বাংলা এবং ইংরেজি দুটিই ভার্শন রয়েছে। ম্যাপ দেখার জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে। আরো অনেক অনেক কাজের অপশন রয়েছে এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসে। মাত্র ১ মেগাবাইটের এই ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসটি ডাউনলোড করা যাবে এই ঠিকানায়


antivirus-protection

সাইবার হামলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিরোধেও নিয়মিত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আর এ প্রতিরোধ ভাঙতেই উন্নত ও অত্যাধুনিক ম্যালওয়্যার ব্যবহার শুরু করেছে সাইবার অপরাধীরা। বর্তমানে যেসব ম্যালওয়্যার শনাক্ত হচ্ছে, তা আগের তুলনায় অনেক সৃজনশীল উপায়ে তৈরি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত বি ইনসাইড টেকনোলজি সামিটে (বিআইটিএস) ম্যালওয়্যার সম্পর্কে এমন তথ্যই জানান সাইবার বিশেষজ্ঞরা। খবর পিসি ম্যাগ।

সাইবার হামলার কারণে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয় বাড়ছে। হামলা থেকে গ্রাহক ও নিজেদের তথ্য রক্ষা করতে সাইবার নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কোনো বিকল্পও নেই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। কিন্তু নিরাপত্তা বাড়াতে যেখানে ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে, সেখানে হামলার অনুষঙ্গও উন্নয়ন করছে সাইবার অপরাধীরা। এতে হামলা প্রতিরোধ আরো কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, সাইবার অপরাধীরা এমন সব অ্যাপের মধ্যে ম্যালওয়্যার যুক্ত করছে, যেগুলো অ্যান্ড্রয়েডের ব্যবহারযোগ্য খুবই পরিচিত অ্যাপ। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা সাইবার হামলা থেকে সুরক্ষিত থাকতে অপরিচিত অ্যাপ ডাউনলোড না করার যে পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তাও টিকছে না। পরিচিত অ্যাপগুলোয় ম্যালওয়্যার ছড়ানোর কারণে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

সাইবার অপরাধীরা র্যানসামওয়্যার নামের বিশেষ ম্যালওয়্যারের উন্নয়ন করছে। র্যানসামওয়্যার বলতে সেসব ক্ষতিকর সফটওয়্যারকেই বোঝায়, যার মাধ্যমে অপরাধীরা গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে অর্থের বিনিময়ে তা আবার গ্রাহককে সরবরাহ করে। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা বিপুল অর্থ উপার্জন করছে।

বিআইটিএসে সাইবার ও ম্যালওয়্যার বিশেষজ্ঞরা সংশ্লিষ্ট খাতের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যু, প্রচলন ও হামলা প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে একত্র হন। এ সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে আইটি সিকিউরিটি কোম্পানি ইসেট। সম্মেলনে সাইবার ও ম্যালওয়্যার বিশেষজ্ঞরা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন। ইসেটের পাশাপাশি মাইক্রোসফটসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরাও উপস্থিত থাকেন। এ কারণে একে সাইবার নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।

ইসেটের জ্যেষ্ঠ ম্যালওয়্যার গবেষক রবার্ট লিপোস্কি জানান, ম্যালওয়্যার শুধু পিসির জন্যই ক্ষতিকর নয়। সেলফোনের জন্যই এটি বড় ধরনের হুমকি। বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য। তিনি আরো বলেন, ‘ম্যালওয়্যার তৈরিকারকরা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি সৃজনশীল। তারা বিভিন্ন ব্যবস্থায় হামলা চালিয়ে সফল হওয়ায় আরো বেশি উত্সাহী হয়ে উঠছে।’

বিআইটিএসে তিনি আরো জানান, ডাবসম্যাশ ও মাইনক্রাফটের মতো অ্যান্ড্রয়েডভিত্তিক গেমগুলোয় অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে। গেমের মাধ্যমে গ্রাহকরা অজান্তেই এ ধরনের ম্যালওয়্যার ইনস্টল করেছেন প্রায় পাঁচ লাখ বার।

অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যারগুলোর কারণে গ্রাহক নিয়মিতই আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, র্যানসামওয়্যার ইনস্টলের কারণে গ্রাহকের ফোনের নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে অন্যের হাতে। এছাড়া স্ক্রিন লক হওয়া, তথ্যে প্রবেশ করতে না পারার মতো ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে গ্রাহককে ৫০০ ডলার পর্যন্ত অপরাধীকে পরিশোধ করতে হচ্ছে। ম্যালওয়্যারের ধরন সৃজনশীল হওয়ার কারণে একে আটকে রাখা যাচ্ছে না। ফলে আক্রান্তের হার সময়ের সঙ্গে বাড়ছে।

মাইক্রোসফটের ম্যালওয়্যার প্রটেকশন সেন্টারের পরিচালক ডেনিস ব্যাচেলডার ম্যালওয়্যারের ইকোসিস্টেমে চারটি প্রধান অংশ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এগুলো হচ্ছে, ক্রাইম সিন্ডিকেট, ম্যালওয়্যার সাপ্লাই চেন, অ্যান্টিম্যালওয়্যার ভেন্ডর ও অ্যান্টিম্যালওয়্যার ইকোসিস্টেম। এর মধ্যে ম্যালওয়্যার সাপ্লাই চেন ধ্বংসে মাইক্রোসফট কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

ম্যালওয়্যারের অস্তিত্ব যখন থেকে টের পাওয়া গেছে, তার পর থেকেই এ ব্যবস্থার প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে মাইক্রোসফট। সাপ্লাই চেন ধ্বংসের পাশাপাশি জড়িতদের আটক ম্যালওয়্যার ছড়ানো প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।


Video-games-are-better-for-children-than-television-1094721

 কম্পিউটার গেম খেলতে খেলতেই ছেলেমেয়েদের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের অভ্যাসটি গড়ে ওঠে। যেমন: দি ইনক্রেডিবল মেশিন, অ্যাংরি বার্ডস অথবা কাট দ্য রোপ এ ধরনের গেমগুলো শিশুদের সৃজনশীল পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশিক্ষকের ভূমিকা রাখে ।

বাড়ির সামনে বিশাল এক মাঠ, বিকালের মিষ্টি রোদে কাদা মাটি জড়িয়ে শিশুদের খেলাধুলা, উচ্ছ্বাস। ইট-পাথরে ঘেরা শহুরে জীবনে এ দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না। এখন তো শিশুদের বিনোদন বলতে টেলিভিশন দেখা আর গেম খেলা। এসবে শিশুরা আসক্ত হয়ে পড়ে ঠিকই। কিন্তু যদি আসক্তি নয় পরিমিত মাত্রায় কম্পিউটার গেম খেলা হয়, তাহলে তাদের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, এমন অনেক গেম আছে যেগুলো খেলতে হলে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি উঁচুমানের চিন্তাভাবনার প্রয়োজন হয়। এ ধরনের দক্ষতা কিন্তু বিদ্যালয় থেকে অর্জন করা সম্ভব নয়।

কম্পিউটার গেম খেলতে খেলতেই ছেলেমেয়েদের ভেতর নানা ধরনের সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের অভ্যাসটি গড়ে ওঠে। যেমন: দি ইনক্রেডিবল মেশিন, অ্যাংরি বার্ডস অথবা কাট দ্য রোপ এ ধরনের গেমগুলো শিশুদের সৃজনশীল পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশিক্ষকের ভূমিকা রাখে। এছাড়া কিছু গেম আছে যেগুলো খেলতে খেলতে শিশুরা পরিকল্পনা করে কোনো কিছু করা, রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে একটা ভালো ধারণা স্বাভাবিকভাবেই পেয়ে যায়। যেমন: সিম সিটি, অ্যাজ অব অ্যাম্পিয়ারস, রেইল রোড টাইকুন, দ্য আমেরিকান প্ল্যানিং অ্যাসোসিয়েশন এ গেমগুলো এমনভাবেই তৈরি হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে ছেলেমেয়েরা বেশ গোছালোভাবে কিছু করার শিক্ষা পেয়ে যায়।

কম্পিউটার গেম শিশুদের কৌশলী হতেও সাহায্য করে। এমনকি বিপজ্জনক মুহূর্তে কীভাবে দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে কিংবা তার আকস্মিক কোনো সমস্যা সমাধান নিতেও শেখায়। এখানেই শেষ নয়, কম্পিউটার গেমগুলো অনেক বড় হয়ে থাকে, যেখানে একটি স্টেজ পার করতে বা মিশন জয় করতে অনেক সময় নিয়ে ধীরস্থিরতার সঙ্গে খেলতে হয়। ফলে তা শিশুর মধ্যে স্থিরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি একাগ্রতাও সৃষ্টি করে, যা সে বাস্তব জীবনেও কাজে লাগাতে পারে। কল অব ডিউটি এবং বেটলফিল্ডের মতো কম্পিউটার গেমগুলো সবকিছুর পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের স্মৃতিতে অনেক তথ্য ধারণক্ষমতাটুকুও বৃদ্ধির ব্যাপারে সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। কেননা এসব গেমে সফল হতে ছেলেমেয়েদের অনেক তথ্যই তাদের স্মৃতিতে ধারণ করতে হয়।

তবে কথায় আছে, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। তাই কম্পিউটার গেম খেলার ক্ষেত্রে পরিমিতবোধ জরুরি। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা শিশুদের কম্পিউটার গেম খেলার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেন, তাহলে তা সন্তানের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সেসঙ্গে আক্রমণাত্মক গেম খেলা থেকে বিরত রাখা উচিত।