শিশু উপযোগী ভিডিও গেম

by 1:54 AM 0 comments


Video-games-are-better-for-children-than-television-1094721

 কম্পিউটার গেম খেলতে খেলতেই ছেলেমেয়েদের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের অভ্যাসটি গড়ে ওঠে। যেমন: দি ইনক্রেডিবল মেশিন, অ্যাংরি বার্ডস অথবা কাট দ্য রোপ এ ধরনের গেমগুলো শিশুদের সৃজনশীল পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশিক্ষকের ভূমিকা রাখে ।

বাড়ির সামনে বিশাল এক মাঠ, বিকালের মিষ্টি রোদে কাদা মাটি জড়িয়ে শিশুদের খেলাধুলা, উচ্ছ্বাস। ইট-পাথরে ঘেরা শহুরে জীবনে এ দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না। এখন তো শিশুদের বিনোদন বলতে টেলিভিশন দেখা আর গেম খেলা। এসবে শিশুরা আসক্ত হয়ে পড়ে ঠিকই। কিন্তু যদি আসক্তি নয় পরিমিত মাত্রায় কম্পিউটার গেম খেলা হয়, তাহলে তাদের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, এমন অনেক গেম আছে যেগুলো খেলতে হলে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি উঁচুমানের চিন্তাভাবনার প্রয়োজন হয়। এ ধরনের দক্ষতা কিন্তু বিদ্যালয় থেকে অর্জন করা সম্ভব নয়।

কম্পিউটার গেম খেলতে খেলতেই ছেলেমেয়েদের ভেতর নানা ধরনের সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের অভ্যাসটি গড়ে ওঠে। যেমন: দি ইনক্রেডিবল মেশিন, অ্যাংরি বার্ডস অথবা কাট দ্য রোপ এ ধরনের গেমগুলো শিশুদের সৃজনশীল পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশিক্ষকের ভূমিকা রাখে। এছাড়া কিছু গেম আছে যেগুলো খেলতে খেলতে শিশুরা পরিকল্পনা করে কোনো কিছু করা, রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে একটা ভালো ধারণা স্বাভাবিকভাবেই পেয়ে যায়। যেমন: সিম সিটি, অ্যাজ অব অ্যাম্পিয়ারস, রেইল রোড টাইকুন, দ্য আমেরিকান প্ল্যানিং অ্যাসোসিয়েশন এ গেমগুলো এমনভাবেই তৈরি হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে ছেলেমেয়েরা বেশ গোছালোভাবে কিছু করার শিক্ষা পেয়ে যায়।

কম্পিউটার গেম শিশুদের কৌশলী হতেও সাহায্য করে। এমনকি বিপজ্জনক মুহূর্তে কীভাবে দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে কিংবা তার আকস্মিক কোনো সমস্যা সমাধান নিতেও শেখায়। এখানেই শেষ নয়, কম্পিউটার গেমগুলো অনেক বড় হয়ে থাকে, যেখানে একটি স্টেজ পার করতে বা মিশন জয় করতে অনেক সময় নিয়ে ধীরস্থিরতার সঙ্গে খেলতে হয়। ফলে তা শিশুর মধ্যে স্থিরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি একাগ্রতাও সৃষ্টি করে, যা সে বাস্তব জীবনেও কাজে লাগাতে পারে। কল অব ডিউটি এবং বেটলফিল্ডের মতো কম্পিউটার গেমগুলো সবকিছুর পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের স্মৃতিতে অনেক তথ্য ধারণক্ষমতাটুকুও বৃদ্ধির ব্যাপারে সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। কেননা এসব গেমে সফল হতে ছেলেমেয়েদের অনেক তথ্যই তাদের স্মৃতিতে ধারণ করতে হয়।

তবে কথায় আছে, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। তাই কম্পিউটার গেম খেলার ক্ষেত্রে পরিমিতবোধ জরুরি। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা শিশুদের কম্পিউটার গেম খেলার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেন, তাহলে তা সন্তানের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সেসঙ্গে আক্রমণাত্মক গেম খেলা থেকে বিরত রাখা উচিত।


Unknown

Developer

Cras justo odio, dapibus ac facilisis in, egestas eget quam. Curabitur blandit tempus porttitor. Vivamus sagittis lacus vel augue laoreet rutrum faucibus dolor auctor.

0 comments:

Post a Comment